সারিয়াকান্দিতে পল্লী বিদ্যুৎ এর ভূতুড়ে বিল নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় তোপের মুখে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) অসিত কুমার শিকদার ।
ভূতুড়ে বিল সম্পর্কে সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছারোয়ার আলম বলেন, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাস হতে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত ৬ মাসে তার খুব বেশি হলে ৪ হাজার টাকা বিল হওয়ার কথা থাকলেও ওই ৬ মাসে ২৭ হাজার ২৪০ টাকা বিল করা হয়েছ। বিলের ব্যাপারে বার বার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সংশোধনের জন্য আবেদন করলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়।
নিয়ম মোতাবেক তাদের মিটার দেখে বিল করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। যে কারণে বাড়তি বিল পরিশোধ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কারণ সরকারি বিল বেশি হলে অনেক কৈফিয়ত দিতে হয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এনামুল হক অনুরুপ অভিযোগে বলেন, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে ৯ হাজার টাকা এবং অক্টোবর মাসে ৪ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। সাধারণত তার বিল ৩-৪ শত টাকা হওয়ার কথা। নারচী ইউনিয়নের এফ. ডাব্লিউ. সিএতে এমন ঘটনা ঘটেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিলু মমতাজ বলেন তার চন্দনবাইশা ইউনিয়নের নিজ বাড়ীতে ৩টি পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। উক্ত বাড়ীতে লোকজন বসত না করায় মিনিমাম একটি বিল হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে দীর্ঘ ৭-৮ মাস যাবত ভূতুড়ে বিল করা হচ্ছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী তরফদার জানান তার একটি স্কুলে সংযোগ আছে। সেখানে ইতোপূর্বে অটো চার্জ দেওয়ার কারণে প্রতিমাসে ৭-৮ শত টাকা বিল দিতে হতো। বর্তমানে বিদ্যুৎ ব্যবহার না হলেও দীর্ঘ ১০ মাস যাবত একই হারে বিল দিতে হচ্ছে।
নারচী ইউপি চেয়াম্যান আলতাফ হোসেন বান্টু বলেন, অন্যত্র বিল পরিশোধ করলে বিলগুলো তাদের হিসাবে জমা না হয়ে পরবর্তী মাসে যোগ করা হচ্ছে।
কর্ণিবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী মন্ডল অনুরুপ অভিযোগ করেন ।
অভিযোগগুলোর ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে না পেরে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অসিত কুমার শিকদার শুধু পাশ কাটিয়ে যান এবং বলেন যে বিষয় গুলি আমি দেখব।
Leave a Reply